নিম্নমানের ন্যাপকিন ও দাঁত তৈরির কারখানার সন্ধান, পাঁচজনকে দণ্ড

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনুমোদনহীন নিম্নমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন, পেটে বাঁধার বেল্ট ও নকল দাঁত তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব পণ্য উপজেলা শহরের তিনটি দোকানে বিক্রি করা হতো। এ ঘটনায় কারখানার দুজন ও দোকানের তিনজনকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ড পাওয়া পাঁচজন হলেন হৃদয় সার্জিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল মেটারিয়ালের মালিক মো. শাজাহান, তাঁর ছেলে মো. মাহিদুল, সততা ফার্মেসির মালিক আবদুল মোতালেব, বর্ণা ফার্মেসির মালিক মো. রুবেল ও নিরাময় ফার্মেসির মালিক মো. নজরুল।

র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইনের নেতৃত্বে বিকেলে ওই অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা দোষী ব্যক্তিদের সাজা দেন।

র‍্যাবের সূত্রে জানা যায়, শাজাহান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী। তিনি কয়েক বছর আগে চণ্ডিবের মধ্যপাড়ায় হৃদয় সার্জিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল মেটারিয়াল নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এখানে অনুমোদনহীন স্যানিটারি ন্যাপকিন, অ্যাবডোমিনাল (পেটে বাঁধার) বেল্ট ও দাঁত তৈরি করে বাজারজাত করা হয়। কারখানাটি নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবস্থিত। সেখানে অভিযান চালিয়ে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শাজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাহিদুলকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের সততা, বর্ণা ও নিরাময় ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। এসব ফার্মেসিতে ওই কারখানার উৎপাদিত পণ্য পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মোতালেবকে ১২ হাজার, রুবেলকে ১০ হাজার, নজরুলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৫০০ প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ২০০ প্যাকেট পেটে বাঁধার বেল্ট জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন এসব পণ্য ব্যবহার করা হলে, বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য ও জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে।