নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বিজিবি সদস্যের বাড়িতে মহাপরিচালক

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ওই বাহিনীর সদস্য রুবেল মন্ডলের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনি গ্রাম পরিদর্শন করেন। আজ বুধবার দুপুরে তোলা ছবি
প্রথম আলো

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বিজিবি সদস্য রুবেল মণ্ডলের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনি গ্রামে যান। এ সময় তিনি রুবেলের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।

গত ২৮ নভেম্বর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালনের সময় সহিংসতায় রুবেল মণ্ডল নিহত হন। তিনি নীলফামারী ৫৬ বিজিবির ল্যান্স নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে বিজিবিতে যোগ দেন।

আজ দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারায় আসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। এরপর তিনি উপজেলার বাইগুনি গ্রামের রুবেল মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর শোকসন্তপ্ত বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নায়েক রুবেলের মৃত্যুতে পুরো বিজিবি শোকাহত ও মর্মাহত। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু যেকোনো সৈনিকের জন্য গর্বের বিষয়। এমন সৌভাগ্য সবার হয় না। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার সৈনিক নিহত হয়েছেন, তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার কর্তব্য। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিজিবি রুবেলের পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে।’

নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তের বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে কাজ করছে। তাঁরা আইনি বিষয়গুলো দেখছেন। ওই কেন্দ্রে যাঁরা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে ছিলেন, ইতিমধ্যে তাঁদের কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

তৃতীয় ধাপে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য রুবেল মণ্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যান।