নির্বাচনে জিতে প্রতিপক্ষের সমর্থকের ঘরে আগুন, পুকুরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক কর্মীর ঘরে আগুন ও একজনের মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজয়ী চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ।

গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নওমালা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদার পরাজিত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা পরাজিত প্রার্থীর কর্মী মো. বেল্লাল হোসেনের (২৮) নগরের হাট এলাকার ঘরে ঢুকে টিভি, ফ্রিজ, শোয়ার খাটসহ বিপুল পরিমাণ আসবাব ভাঙচুর করেন। এরপর সেগুলো এক জায়গায় স্তূপ করে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। আর এর আগে নৌকার কর্মীরা শনিবার রাতে ঘোড়া প্রতীকের কর্মী মো. ইব্রাহিম হোসেন নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ নিধন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী বেল্লাল বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডবের কারণে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, বেল্লাল তাঁর অনেক কর্মীকে অত্যাচার নির্যাতন করেছেন, অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। তিনি তাঁদের নিবৃত্ত করেছিলেন। কিন্তু বেল্লাল নাকি নির্বাচনের পর ফেসবুকে উত্তেজনামূলক স্ট্যাটাস দিয়েছে। এ কারণে তাঁর কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আবার ওই সময় তাঁর কর্মীরাই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের থামিয়েছেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়নি। মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে তাঁর জানা নেই।