নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ীর মামলা নেয়নি পুলিশ

রাজশাহী জেলার মানচিত্র
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাগমারায় নির্যাতনের শিকার পান ব্যবসায়ী টিপু সুলতান (২৮) পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ তা রেকর্ড করেনি বলে তাঁর দাবি। নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে পুলিশ বলেছে, নির্যাতনের ঘটনা সঠিক হলেও ছিনতাইয়ের অভিযোগ সত্য কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার মচমইল গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে টিপু সুলতান অভিযোগ করেন, ৭ এপ্রিল জনতা ব্যাংকের মোহনগঞ্জ শাখা থেকে সাত লাখ টাকা তুলে মচমইল হাটে যাচ্ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মচমইল বেলতলা মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ সুমন হোসেন ও পলাশ মীর নামের দুই যুবক তাঁকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন যোগ দেন। তাঁরা টিপু সুলতানকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। তাঁর কাছে থাকা পান কেনার সাত লাখ টাকা নিয়ে সটকে পড়েন।

ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনার পর টিপু সুলতান থানায় আটজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। তবে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ তা রেকর্ড করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে নিজের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে টিপু বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তিনি এখন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার দিন বেধড়ক পিটুনি দেওয়ার পর প্লাস দিয়ে বাঁ হাতের তর্জনীর সামনের অংশে কেটে ফেলা হয়। পায়ের বিভিন্ন স্থানে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়।

টিপু অভিযোগ করেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ তা এখনো তালিকাভুক্ত করেনি। আসামিরা সবাই প্রভাবশালী একজন নেতার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। তাঁকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ ব্যবসায়ী টিপুর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে তদন্ত চলছে। একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে মামলা তালিকাভুক্ত করা হবে।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও অভিযুক্ত পলাশ মীর ও সুমন হোসেন কল ধরেননি। তবে তাঁদের স্বজনেরা বলেছেন, টিপুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছিল। এর জেরে ওই দিন হামলার ঘটনা ঘটেছে।