নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে দূরপাল্লার বাস। শনিবার দুপুরে কালিহাতী উপজেলার পৌলি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এতে এই মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। ট্রাক, পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার বাসও এই মহাসড়কে চলাচল করছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৫ হাজার ৪০০ যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে।

পুলিশ জানায়, পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এ মহাসড়কে শুক্রবার ট্রাকের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে চাপ থাকলেও এখনো মহাসড়কে যানজট হয়নি।

দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া, কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়কে দেখা যায়, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু দূরপাল্লার বাসও চলছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত শতাধিক দূরপাল্লার বাস সেতু পার হয়েছে। এসব বাস সিরাজগঞ্জ চলে গেছে। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাস কম চলাচল করছে। এ কারণে মানুষ উচ্চ ভাড়ায় মাইক্রোবাসে গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক বা পিকআপেও যাচ্ছেন কেউ কেউ।

এলেঙ্গায় সিএনজি স্টেশনে কথা হয় বগুড়ার বাসিন্দা আবদুল ওহাবের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস বন্ধ থাকায় তাঁরা ১৪ জন গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে বগুড়া যাচ্ছেন। এতে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে ভাড়া দিতে হচ্ছে। পিকআপে ঢাকা, সাভার, গাজীপুর এলাকা থেকে দুই থেকে তিন শ টাকা ভাড়ায় বগুড়ায় যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বলেন, নির্দেশ অমান্য করে দূরপাল্লার বাস চলাচল করায় শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক বাস ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন