নিষেধাজ্ঞার পরও পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশে দর্শনার্থীদের আনাগোনা

  • মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক ও বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ আপাতত বন্ধ

  • তবে এসব এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা অব্যাহত আছে

  • পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে পর্যটকেরা আশপাশে ঘুরে ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বাইরে পর্যটকদের আনাগোনা।ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক ও বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতি সৌধে পর্যটক প্রবেশ নিষেধ। এরপরও এসব এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা অব্যাহত আছে।

শনিবার দুপুরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উদ্যানের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ। নিরাপত্তাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় আছেন। ফলে পর্যটক প্রবেশ করতে পারেননি। কিন্তু মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে করে আসা অনেক পর্যটকের জটলা সেখানে ছিল। তাদের অনেকে উদ্যানের বাইরে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের পাহাড়ি রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে ছবি তোলেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের কারণে সরকারি নির্দেশনায় গত ৫ মাস ধরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মোনায়েম হোসেন, লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা

এসব পর্যটকদের অনেকে আবার মাধবপুর লেকে গিয়ে ভিড় করেন। মাধবপুর চা বাগান লেক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেকে যাওয়ার আগে ২টি স্থানে চা বাগানে ফটক আছে। ফটকে পর্যটকদের ব্যবহৃত যানবাহন আটকে টোল আদায় করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। মাধবপুর চা বাগান কারখানা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরের লেকে পর্যটকেরা দল বেঁধে ঘুরছেন।

লাউয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জির স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নেতা ও ইকো ট্যুর গাইড সাজু মারছিয়াং বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৯ মার্চ থেকে জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পর থেকে জাতীয় উদ্যানে কোনো পর্যটক প্রবেশ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় আপন পরিবেশে আছে বন ও বনের পশু-পাখি। কোলাহলমুক্ত অবস্থায় আছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।

নিষেধাজ্ঞা থাকায় ও প্রধান ফটকে তালা থাকায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না পর্যটকেরা।
ছবি: প্রথম আলো

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের কারণে সরকারি নির্দেশনায় গত ৫ মাস ধরে এ উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিক হলে এবং সরকারি নির্দেশনা এলে আবারও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ফটক খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য।