নিষ্কাশনের নালা ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

পানিনিষ্কাশনের নালার বেশির ভাগ ময়লায় ভরাট হয়ে আছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে গতকাল শনিবার পাবনা পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এদিন শহরের বেশ কিছু এলাকায় পানি জমে রাস্তা ও বাড়ির প্রধান ফটক ডুবে যায়। নিচু এলাকার অনেক বাড়ির নিচতলায়ও পানি জমে। এতে দুর্ভোগে পড়েন পৌর এলাকার বাসিন্দারা।

গত শুক্রবার থেকে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ১৯১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি হতে পারে আরও দুই থেকে তিন দিন। এদিকে পৌর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এমনটা হলে তাঁদের আরও কয়েক দিন জলাবদ্ধতায় থাকতে হবে।

পাবনা পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি ওয়ার্ডের পৌর এলাকায় মহল্লা রয়েছে ৪২টি। এসব মহল্লায় চলাচলের রাস্তার পাশ দিয়ে পানিনিষ্কাশনের ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নালা তৈরি করেছে পৌরসভা। এসব নালার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি গিয়ে পড়ে ইছামতী নদীতে। কিন্তু নালার বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে থাকায় পানি নিষ্কাশিত হতে পারছে না। এ কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বাসিন্দারা।

বৃষ্টি শেষে গতকাল বেলা একটার দিকে রোদের দেখা মেলে। তখনো শহরের শালগাড়িয়া, কালাচাঁদপাড়া, আটুয়া, যুগীপাড়া, ময়নামতি, দক্ষিণ রাঘবপুরসহ কয়েকটি মহল্লার সড়ক ও বাড়ির প্রবেশপথে পানি জমে ছিল। সড়কের পাশের নালা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল খুব ধীরগতিতে।

আতাইকুলা মহল্লার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জলাবদ্ধতার সমস্যা হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হলেই পানি নামতে ২০–২৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এ বিষয়ে পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা এ শহরের ১৭ বছরের সমস্যা। বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে। বাসার ময়লা নালায় ফেললে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।