নিয়োগ বাতিল, লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ ও ফল বাতিলের দাবিতে সমাবেশ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধন করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ
ছবি: মঈনুল ইসলাম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ বাতিল, ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ করা ও অনিয়ম করে প্রকাশিত স্নাতকোত্তরের ফল বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মতিউর রহমান। সদস্যসচিব খায়রুল কবীরের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল প্রমুখ।

শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা কমিটির সভা ছাড়া ও মূল নম্বরপত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে পরীক্ষার ফল প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। তাই আমরা এই ফল নতুন করে প্রকাশের দাবি জানাই। সেই সঙ্গে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ এবং অনিয়ম করে রসায়ন ও জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সদ্য শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রথম পর্ব পরীক্ষা-২০১৭–এর ফল প্রকাশে অনিয়ম এবং তা বাতিলের দাবিতে বেলা একটার দিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাজমুল হককে তাঁর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগও করা হয়।

ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য জিনাত শারমিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি পরীক্ষা কমিটির সদস্য হলেও ফলাফল প্রকাশ করা প্রসঙ্গে আমি কিছু জানি না। কীভাবে যে ফলাফল প্রকাশ করা হলো, তা আমি পরীক্ষা কমিটির সদস্য হয়েও জানলাম না।’

অভিযোগের বিষয়ে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছাড়া উপাচার্য স্যারের নির্দেশে ৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে ফলফল প্রকাশ করা হয়েছে।’ এর বেশি কিছু তিনি মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে জানার জন্য উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা ধরেননি।