নিয়োগ স্থগিতের নির্দেশনার কারণ জানতে চাইবেন রাবির উপাচার্য

আবদুস সোবহান
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়োগ স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতে প্রশাসনিক কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণের কথা বলা হয়নি। তাই তিনি (উপাচার্য) মন্ত্রণালয়ের কাছে এই নির্দেশনার কারণ জানতে চাইবেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় জনগণের পক্ষ থেকে দেওয়া দুটি বাসের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এম আবদুস সোবহান এ কথা বলেন। নিয়োগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না, না। চিঠি তো এসেছেই গতকাল (সোমবার)।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টী, বিশ্ববিদ্যালয়টির সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চিঠিগুলো এসেছে, তাতে তেমন কিছু নেই। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার বিষয়ে কিছু কথা বলেছে।
এম আবদুস সোবহান, উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

গত ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি চিঠি পাঠানো হয়। এসব চিঠিতে নীতিমালা শিথিল করে এবং অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে শিক্ষক হিসেবে দেওয়া নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে অসদাচরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি এবং নিয়োগে জড়িত সহ-উপাচার্যসহ পাঁচজন শিক্ষক, একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রমও বন্ধ রাখতে বলেছে মন্ত্রণালয়। একটি চিঠিতে আব্দুস সোবহান অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাড়ি দখলে রেখে ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন উল্লেখ করে তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

এসব নিয়ে আজ প্রথম আলোয় ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম: উপাচার্যের কন্যা-জামাতার নিয়োগ বাতিলের নোটিশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

চিঠিগুলোর ব্যাপারে আজ উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চিঠিগুলো এসেছে, তাতে তেমন কিছু নেই। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার বিষয়ে কিছু কথা বলেছে। আমার মনে হয় যে এটা (চিঠির বিষয়গুলো) ওপেন না, তবে এটা নিয়ে আমাদের জবাব দিতে হবে। আমরা জবাব দিয়ে দেব।’

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবদুল বারীকে অব্যাহতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এসব নিয়ে এখানে কথা বলব না। এটাতে একটা আইনি ব্যাপার আছে। আপনারা সবই জানতে পারবেন।’