নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্প্রতি তিস্তা ব্যারাজ এলাকায়
ফাইল ছবি

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে করে তিস্তা নদীবেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। গত মঙ্গলবার সেখানে ২৫ সেন্টিমিটার এবং গতকাল বুধবার ৩০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। এর আগে বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ৪ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৪ জুলাই চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। পরদিন থেকে পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বন্যাবস্থার সৃষ্টি করে।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খাঁন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে, বিকেল থেকে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে করে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিয়নের প্রায় ৬০০ পরিবার এরই মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ৩৭, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৪০, দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ৪০, বেলা ৩টায় ৫২ দশমিক ৪২ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৫২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ব্যারাজের ভাটিতে ডাউয়াবাড়ি নামের স্থানে তিস্তা ডান তীর বাঁধে তিস্তার পানি আঘাত হানছে। সেখানে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।