দোকানে হঠাৎ বিস্ফোরণ
‘মর্টার শেলটি কোথা থেকে এল?’
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ বাজার এলাকায় কাঞ্চন মিয়ার ভাঙারি দোকানে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভাঙারি দোকানে মর্টার শেল থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটসহ বিভিন্ন শাখার তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তদন্তে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে মর্টার শেল বিস্ফোরণ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে মর্টার শেলটি কোথা থেকে ওই ভাঙারি দোকানে এল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ সময় নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘তদন্তে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে মর্টার শেল বিস্ফোরণ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে মর্টার শেলটি কোথা থেকে ওই ভাঙারি দোকানে এল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার দিন রোববার রাতে সবুজ মিয়া ও নাহিদ মর্টার শেলটি কাটতে চাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে সবুজ মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। আর নাহিদ আহত হন।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ বাজার এলাকায় কাঞ্চন মিয়ার ভাঙারি দোকানের হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার চালিতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশা মেকানিক সবুজ মিয়া (৩৬) ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর মালিক কাঞ্চন মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২৫) গুরুতর আহত হন। নাহিদের বাড়ি পৌর শহরের খুজিউড়া এলাকায়। হতাহতরা পরস্পরের আত্মীয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানটি ঘিরে রাখে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আহত নাহিদকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত নাহিদের শরীরের প্রায় ২৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর এ আলম বিকেলে বলেন, ‘নিহত সবুজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় এখন পর্যন্ত একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ভাঙারির মালিক কাঞ্চন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’