নেত্রকোনায় আরও এক চিকিৎসকসহ ছয়জন করোনায় আক্রান্ত

নেত্রকোনায় আরও এক চিকিৎসক ও তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে জেলায় মোট ৭ জন চিকিৎসক ও ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় (কোভিড–১৯) আক্রান্ত হলেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন নারী। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক, এক নার্সসহ চারজন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন কর্মকর্তা ও মদনের গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মৃত নারী (৬০) রয়েছেন। ওই নারী ৮ মে নারায়ণগঞ্জ থেকে জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসে গত রোববার নিজ বাড়িতে মারা যান। পরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাররেটরিতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, নেত্রকোনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট দুই হাজার একটি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৩২টি নমুনার প্রতিবেদনে ৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩৫ জন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঈদের কেনাকাটা করতে গত রোববার থেকে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বড় বড় হাটবাজারের দোকানগুলোতে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকা ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব না মানাসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় কাল শনিবার থেকে প্রশাসন আবারও দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৩ এপ্রিল থেকে নেত্রকোনাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করার কারণে বাজারে মাত্রাতিরিক্ত জনসমাগমের ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী , জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে কাল শনিবার থেকে পুনরায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ বিক্রির দোকান এবং কাঁচাবাজার খোলা থাকবে।