নেত্রকোনায় ট্রলারডুবি: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বুধবার সকালে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রাজনগর গ্রামের গুমাই নদে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার রাতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়।  

নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম ও কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম।

কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়ে গেছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর এলাকা থেকে বুধবার সকালে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনার উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রাজনগর গ্রাম লাগোয়া গুমাই নদে যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানি হয়। এখনো নিখোঁজ আছেন আটজন। মৃত ১০ জনের মধ্যে নয়জনের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায়। অপরজনের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার মেদনী গ্রামে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ নিহতদের স্বজনদের ২০ হাজার করে টাকা ও শুকনো খাবার দেন। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান নিহতদের পরিবারপ্রতি ১০ হাজার টাকা দেন।