নেত্রকোনায় ট্রলারডুবি, প্রাণ গেল ১০ জনের

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরকোনা যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষ হয়।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বুধবার সকালে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বুধবার সকালে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলমাকান্দার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগরে গুমাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরকোনা যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও পাঁচ শিশু রয়েছে।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রাজনগরের গুমাই নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে
ছবি: প্রথম আলো

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কলমাকান্দার ইউএনও মো. সোহেল রানা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কালেক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে ওসি জানান, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি রওনা হয়েছিল। সাড়ে ১০টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গুমাই নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে
ছবি: প্রথম আলো

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাদিসউজ্জামান। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী নৌকাটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।

জেলার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

এ ঘটনায় প্রাণ হারানো ১০ জন হলেন সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার জামালপুর গ্রামের কবীর মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪০) ও তাঁর তিন বছরের ছেলে আল মুজাহিদ, একই উপজেলার কামাউড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০) ও তাঁর আড়াই বছরের ছেলে জাহিদ মিয়া, চার বছরের মেয়ে টুম্পা আক্তার, একই এলাকার ছায়েদ আলীর স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (৫০), আলমগীরের ছয় বছরের ছেলে অনিক মিয়া, আবদুল ওয়াহাবের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (২৫) ও তাঁর দুই বছরের ছেলে রাকিবুল, নেত্রকোনার মেদনী এলাকার আবু চানের স্ত্রী হামিদা আক্তার।

এর আগে ৫ আগস্ট জেলার মদন উপজেলার হাওরে নৌকাডুবির ঘটনায় ৭ শিশুসহ ১৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।