নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ৭

পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বের করা মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বের করা মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেকুল ও কনস্টেবল ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত করা সব পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে নেত্রকোনায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নেত্রকোনা সরকারি কলেজসহ জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

নেত্রকোনায় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত এক শিক্ষার্থী
ছবি: প্রথম আলো

মানববন্ধনের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের কুড়পাড় এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে রওনা হন। মিছিলটি মোক্তারপাড়া এলাকায় আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশ লাটিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন দৌড়াদৌড়ি ও হুড়োহুড়িতে নিউজ ২৪ ও দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি সোহান আহমেদসহ অন্তত সাতজন শিক্ষার্থী আহত হন।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ফাহিম খান পাঠান, ইমরান হোসেন, শাহনুর আলম, আতিকুর রহমান, জিহাদ মিয়া, খায়রুল ইসলাম। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুনরায় জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে পুলিশি লাঠিচার্জের বিচার দাবি করেন।

স্থগিত করা সব পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: প্রথম আলো

আহত শিক্ষার্থী ফাহিম খান পাঠান সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এ ধরনের লাঠিচার্জ সভ্য সমাজে কাম্য নয়। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বিকেল পৌনে চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদের কর্মসূচিতে পুলিশের এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যাঁরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।