নোয়াখালীতে একই পরিবারের চারজনসহ ৮১ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় একই পরিবারের শিশুসহ চারজন এবং পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ মোট ৮১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একই পরিবারের চারজন কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন পরিবারেরই আক্রান্ত এক সদস্যের সংস্পর্শে এসে। তাঁরা সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা।

সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সেনবাগের ওই পরিবারের এক সদস্য আগেই কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হন। তাঁর সংস্পর্শে এসে পরিবারের নারী, শিশুসহ চার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ওই চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৯ জন। মারা গেছেন ১৭ জন।

আজ মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে নতুন আক্রান্ত রোগীদের এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে জেলার দুইটি নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্র আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংক্রমণের সর্বশেষ ফলাফল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেগমগঞ্জ উপজেলার ৪৩ জন। এরপরই আছে সদর উপজেলার ৩১ জন। আর বাকিরা অন্যান্য উপজেলার। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলার ৯ জন, সেনবাগের ৪ জন, সোনাইমুড়ীর ২ জন, সদরের ১ জন এবং সুবর্ণচর উপজেলার ১ জন রয়েছেন।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সদর উপজেলার নতুন শনাক্ত হওয়া ৩১ জনের মধ্যে নোয়াখালী পৌরসভার ১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।

অন্যদিকে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের কোভিড-১৯ হাসপাতালের ইনচার্জ নিরুপম দাশ প্রথম আলোকে বলেন, গত প্রায় এক মাসে ওই হাসপাতাল থেকে ৪৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। সেখানে এখন ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২০ জন পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন চিকিৎসাধীন।