নৈশকোচে যৌন হয়রানি করায় তরুণকে গণপিটুনি

প্রতীকী ছবি

পরিবারের সঙ্গে নৈশকোচে ঢাকা যাওয়ার পথে ১১ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে এক বখাটে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নৈশকোচের যাত্রীরা বখাটে ওই যাত্রীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় বখাটে তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিতে ওঠার অপেক্ষমাণ একটি নৈশকোচে। গ্রেপ্তার বখাটে তরুণের নাম জিহাদ খাঁ ওরফে জাহিদ খান (২২)। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার জগডাল ইউনিয়নের বাজার এলাকার মো. রউফ খানের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন।

মেয়েটির খুব ঘুম পাওয়ায় পেছনের সিট খালি থাকায় তাকে ওই সিটে ঘুমিয়ে পড়তে বলেন তার মা। মায়ের কথামতো পেছনের সিটে ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েটি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আশপাশের একটি সিটের যাত্রী জাহিদ মেয়েশিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে যশোর নিউমার্কেট বাসস্ট্যান্ড থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে করে স্ত্রী, ছেলে ও ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মামলার বাদী শিশুটির বাবা। রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের বাসটি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাটসংলগ্ন সিদ্দিক কাজীপাড়া এলাকায় ফেরির জন্য সিরিয়ালে অপেক্ষা করছিল। ক্ষুধা লাগায় তিনি (বাদী) ও তাঁর ছেলে রেস্তোরাঁ থেকে কিছু খাবার কিনতে বাস থেকে নামেন। এ সময় বাসে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে রেখে আসেন।

এ সময় মেয়েটির খুব ঘুম পাওয়ায় পেছনের সিট খালি থাকায় তাকে ওই সিটে ঘুমিয়ে পড়তে বলেন তার মা। মায়ের কথামতো পেছনের সিটে ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েটি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আশপাশের একটি সিটের যাত্রী জাহিদ মেয়েশিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেন। এতে শিশুটির ঘুম ভেঙে গেলে চিৎকার করে ওঠে। এ সময় ঘটনাটি শিশুটির মা ও বাসের অন্য যাত্রীরা দেখে ফেলে জাহিদকে হাতেনাতে আটক করে গণপিটুনি দেন। দ্রুত রেস্তোরাঁ থেকে শিশুটির বাবা ও ভাই বাসে ছুটে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত জাহিদকে আটক করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার দুপুরে যৌন হয়রানির শিকার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে জাহিদ খাঁকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকেলেই রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সন্ধ্যায় তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।