নৈশপ্রহরীকে হত্যার দায়ে তরুণের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় নৈশপ্রহরীকে হত্যার দায়ে তরুণকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন তিনজন। আজ সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় দেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবদুস ছাত্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই তরুণ হলেন মোফাজ্জল আলী (২৫)। তাঁর বাড়ি বিশ্বনাথ থানার কাইরঘাট গ্রামে। আর খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কাইরঘাট গ্রামের তারেক আহমদ, সুরুজ আলী ও সুরমান আলী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৯ জুন দেওকলস ইউনিয়নের কাইরঘাট দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শত্রুতার জেরে নৈশপ্রহরী আবদুল মতিন খানকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের খুলিয়াডুলি গ্রামে। বিশ্বনাথে তিনি নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মেয়ে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে একই বছরের ২৯ আগস্ট চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলার ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।