নোয়াখালীতে করোনা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের ১২০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায়  করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও করোনার উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় মারা গেছেন একজন, আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তিনজন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা আগের দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।  জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনার ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নুরুল ইসলাম (৫৫), একই জেলার চন্দ্রগঞ্জের আবদুল মতিন (৭০), নোয়াখালীর চাটখিলের পরানপুরের তাহেরা বেগম (৬০) ও সদর উপজেলার বিনোদপুরের আবু তাহের (৬৫)। এর মধ্যে আবু তাহের ছাড়া বাকিরা মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে।

আজ বিকেলে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও সমন্বয়ক নিরুপম দাশ ওই চারজনের মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে যেসব রোগীকে ভর্তির জন্য আনা হয়, তাঁদের বেশির ভাগেরই অবস্থা খারাপ থাকে। গত বছর একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১০ শতাংশকে অক্সিজেন সুবিধা দেওয়া লাগত। আর এখন প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীকে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন দিয়েও বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।

চিকিৎসক নিরুপম দাশ আরও বলেন, কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত। বাকিরা করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জন করোনা রোগী এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল নোয়াখালীর তিনটি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। শনাক্ত হওয়া ১১৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৪৮ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুবর্ণচরে ১ জন, হাতিয়ায় ১ জন, বেগমগঞ্জে ২১ জন, সোনাইমুড়ীতে ১১ জন, চাটখিলে ৪ জন, সেনবাগে ৯ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৪ জন ও কবিরহাট উপজেলায় ১৬ জন রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক মাসুম ইফতেখার এক দিনের ব্যবধানে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হারও বেশি ছিল। তা ছাড়া পূর্বে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করেও অনেকের ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়।