নোয়াখালীতে ঢিলেঢালা লকডাউন

নোয়াখালী জেলা
নোয়াখালী জেলার ম্যাপ

নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লকডাউনের তৃতীয় দিনে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ১০ জুন বিকেলে নোয়াখালী পৌরসভা এবং সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মাইজদীবাজার থেকে দত্তেরহাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়কে যাত্রীবাহী বাস না চললেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছিল। কর্তব্যরত পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তৎপরতার ভেতরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব যানবাহনের যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ভেতরের সড়কগুলোতেও বিনা বাধায় হালকা যানবাহন চলাচল করছিল। জেলার অন্য উপজেলা থেকে সদর উপজেলায় মানুষজনের চলাচলও ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। আর এ সুযোগে সিএনজি, অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে শহর এলাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।

জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। এরপরও কিছু কিছু সড়কে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অটোরিকশা চলাচলের চেষ্টা করছে। সেগুলোও নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। একই দিন জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল রোববার ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭। শনাক্ত ৬০ জনের মধ্যে ২৬ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। আর বাকিদের মধ্যে বেগমগঞ্জের ১২ জন, সোনাইমুড়ীর ১২ জন, চাটখিলের ২ জন, সেনবাগের ৪ জন, কোম্পানীগঞ্জের ১ জন ও কবিরহাটের ৩ জন রয়েছে। একই সময়ে জেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর লাইফ কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।