নোয়াখালীতে নিখোঁজের চার দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নজরপুর গ্রামের নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির নাম মিজানুর রহমান ওরফে আশরাফুল (৬)। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে সেনবাগ থানার পুলিশ মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাশটি কাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের নানার বাড়ি (জিতু সওদাগরের বাড়ি) থেকে নিখোঁজ হয় শিশু মিজানুর রহমান ওরফে আশরাফুল। মিজানুর ওই উপজেলারই বাবুপুর-শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনার দিনই আবুল কাশেম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে সেনবাগ থানার পুলিশ মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নানার বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দূরে শিশুটির মৃতদেহ মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন এসে শিশুটিকে শনাক্ত করেন। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, আনুমানিক ছয় বছর বয়সের শিশুটি গত শুক্রবার সকালে নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবার থানায় বিষয়টি নিয়ে একটি জিডি করে। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।

ওসি আবদুল বাতেন বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।