নোয়াখালীতে পুলিশের উপস্থিতিতে সাবেক সাংসদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক সাংসদ আবু নাছের চৌধুরীর বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন। রোববার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে।
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক সাংসদ আবু নাছের চৌধুরীর বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বোনের বাসায় দলের উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক সাংসদ আবু নাছের চৌধুরীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বাড়ির নারী-পুরুষসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ছররা গুলিতে আহত। হামলাকারীরা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং বাড়ির কয়েকটি পাকা ভবনের জানালার কাচ ভাঙচুর করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ জ ম পাশা চৌধুরী ওরফে রোমেল।

বক্তারা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের উপস্থিতিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা প্রয়াত সাবেক সাংসদ আবু নাছের চৌধুরীর বাড়িতে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। এতে বাড়ির অন্তত ছয়জন নারী-পুরুষ আহত হন। তারা এ সময় বাড়ির দরজা-জানালার কাচ ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ জ ম পাশা চৌধুরী রোমেলকে হত্যা করা। তবে তিনি না থাকায় বেঁচে যান। এ সময় বাড়ির নারীরাও হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাননি।

মাহবুবুর রশিদের অভিযোগ, সাবেক সাংসদের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং পুলিশের উপস্থিতিতেই কাদের মির্জার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি করেছে, ককটেল হামলা চালিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সন্ত্রাসী বাহিনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাস চন্দসহ অন্তত ১০ জনকে পঙ্গু করেছে। যাদের অনেকে এখনো ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি।

মামলা রেকর্ড না করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক সাংসদের বাড়িতে হামলার ঘটনার দিন পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ না করেই মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করা অযৌক্তিক।