নোয়াখালীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নোয়াখালী সদর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ২০১ ধারার অপরাধের জন্য একই আসামিকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আদেশে মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি আমিরুল ইসলাম মাঝি (৫০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সদর উপজেলার পূর্ব মাইজচরা গ্রামের আমিরুল ইসলাম মাঝি তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন। পরদিন এ ঘটনায় সুধারাম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। মামলার পর রোকেয়ার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রোকেয়া বেগমের বাবা একই গ্রামের আবদুল কাদের বাদী হয়ে জামাতা আমিরুল ইসলাম মাঝি, তাঁর ভাই নুরুল ইসলাম মাঝি ও চাচাতো ভাই জাকের হোসেনকে আসামি করে সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এজাহারভুক্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৮৪ কার্যদিবসে আদালত মামলার ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ দুপুরে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত তিন আসামির মধ্যে রোকেয়ার স্বামী আমিরুল ইসলামকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০১ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর দুই আসামি নুরুল ইসলাম ও জাকের হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার চন্দন মজুমদার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী কৌঁসুলি এমদাদ হোসেন। আর আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফারুক।