নোয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে নির্যাতন করে হত্যা, চাচা আটক

নোয়াখালীতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ আলী ওরফে মনু (৩২)। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে জেলা শহরের দত্তবাড়ির মোড় এলাকায় নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত মোহাম্মদ আলী নোয়াখালী শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের দত্তবাড়ি এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে। মোহাম্মদ আলীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ছোট ভাই আহম্মদ আলীও (২৭) হামলার শিকার হন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ আলীর চাচা মো. ইকবালকে (৫০) রাতেই আটক করেছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গতকাল রাতে একটি দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত মোহাম্মদ আলীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তাঁকে বাঁচাতে ছোট ভাই আহম্মদ আলী এগিয়ে এলে তাঁকেও রড দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। তারা মোহাম্মদ আলীকে টেনেহিঁচড়ে দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে সাঁটার বন্ধ করে দেয়। পরে পরিবারের লোকজন রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল করিম ওরফে বিশাল প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মোহাম্মদ আলী শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে চাচার সঙ্গে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে তিনি নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা মনে করছেন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন আজ মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর চাচা মো. ইকবালের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে তিনি খুন হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর অভিযুক্ত চাচা মো. ইকবালকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে সে অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।