ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা চান ১০ নেতা–কর্মী

চলতি বছরের ডিসেম্বরে হতে যাচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীরা এখন নানাভাবে নিজেদের আলোচনায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করছেন। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান, এমন নেতা-কর্মীর সংখ্যা ১০। বিপরীতে পিছিয়ে বিএনপি। তাঁদের মাত্র একজন নির্বাচন করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

ভৈরব প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রের কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা অঞ্চলটি বৃটিশ আমল থেকে নদীবন্দর ও গতিশীল অর্থনীতির শহর। স্থানীয় রাজনীতিতে মেয়র পদটির প্রভাব বেশ বড়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হতে চাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান মেয়র ফখরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত উল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মির্জা সাজ্জাদ ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী জুলফিকার আলী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেউ কেউ ছোট পরিসরে ওয়ার্ড কিংবা পাড়া–মহল্লায় কর্মিসভা করে যাচ্ছেন। সমর্থকেরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সরব করে রেখেছেন। প্রচার করছেন লিফলেট। সব মিলিয়ে ভৈরবে এখন পৌর নির্বাচনী আবহ বিরাজ করছে।

নেতা-কর্মীরা বলেন, বর্তমান মেয়র ফখরুল আলম আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হন। তবে এর আগে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও দুবার মেয়র ছিলেন। তিনি ছাড়া অন্য কারও মেয়র পদে নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই।

হুমায়ুন কবির বর্তমানে ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি। তিনি বলেন, রাজনীতি ছাড়াও সমাজ ও ব্যবসাসম্পর্কিত মানুষের সঙ্গে সমানভাবে আছেন কয়েক যুগ আগে থেকে। আওয়ামী লীগের মূল ধারার রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিবিড়। সে কারণে মনে হয়েছে, দল তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারে।

আতিক আহমেদ কলেজজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। কয়েক বছর ধরে আছেন পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। তিনি বলেন, ‘নৌকার মাঝি তাঁরই হওয়া উচিত, যিনি নৌকাকে সামনে নিয়ে যেতে পারবেন। আর নৌকার পালে হাওয়া দিতে হলে জনসম্পৃক্ততা বড় অধ্যায়। এ পাঠে আমি বরাবরই সবার আস্থার একজন।’

শেফায়েত উল্লাহ দীর্ঘদিন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। এখন তিনি উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকায় দলে তাঁর একটি বলয় রয়েছে। শাখাওয়াত উল্লাহ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের একান্ত সচিব ছিলেন। এই আসনের সাংসদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। নাজমুল জিল্লুর রহমানের ছেলে।