নৌকার এজেন্টদের বিরুদ্ধে গোপন কক্ষে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

তৃতীয় ধাপে আজ শনিবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল আটটা থেকেই ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে নৌকার এজেন্টদের বিরুদ্ধে ভোটের গোপন কক্ষে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী।

নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা ও শঙ্কা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এক সমর্থক ভোটের গোপন কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে নৌকার ওই সমর্থক তাঁর নাম সাইফুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে জানান, ভোটারদের সহযোগিতার জন্য গোপন কক্ষে আসতে হয়েছে। অনেক ভোটার সহযোগিতা চান তাঁদের কাছে। ওই কেন্দ্রের ভোটার আমির হোসেন নামের বলেন, ‘তিনি ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিতে চাইলে ভেতরে থাকা এজেন্টের লোকটি আমাকে সহযোগিতার কথা বলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেন।’

জানতে চাইলে আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত কেউ তাঁর ভোট অন্য লোকে দিয়ে দিয়েছেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেননি।

বিএনপির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, নৌকার এজেন্টরা ভোটের গোপন কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা ভোটারদের কাছ থেকে মেয়র প্রার্থীর ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মারছেন। কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন বাধা দেওয়ার আর কোনো লোক নেই। তাঁরা ইচ্ছেমতো নৌকার ব্যালটে সিল মারছেন।

তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, গোপন কক্ষে কোনো এজেন্ট থাকার কথা না। বিএনপির প্রার্থী মিথ্যাচার করছেন। এ ছাড়া বিএনপির কোনো এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়নি। নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপির এজেন্টরা মনে হয় চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। খারাপ কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বিএনপির এজেন্ট বের করে দেওয়া কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি।