নৌকার পথসভায় হাতবোমা বিস্ফোরণ

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভায় নৌকার পথসভায় হাতবোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শহিদুজ্জামান শহিদের নির্বাচনী সভায় একাধারে তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিদাগাছি গ্রামে এক সভায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ৩০ জানুয়ারি এ পৌরসভার নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি থেকে নির্বাচন করছেন মো. খুশবর রহমান। আর জামায়াতে ইসলামের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্র থেকে জগ প্রতীকে লড়ছেন মো. হাফিজুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাচনী সভা শুরু হয়। এতে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। প্রার্থী শহিদুজ্জামানের বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম। মঞ্চের সামনে সারিবদ্ধ চেয়ারে বসে বক্তব্য শুনছিলেন ভোটার ও দলীয় নেতা–কর্মীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে নির্বাচনী সভার মঞ্চের পেছনে একাধারে তিনটি ককটেলের (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ভোটার-সমর্থকেরা এদিক–সেদিক ছুটে যেতে লাগেন।

মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সভায় তাঁর বক্তব্যসহ সবার বক্তব্য প্রায় শেষ। প্রধান অতিথি বক্তব্য দিতে কেবল দাঁড়িয়েছেন। সে সময় মঞ্চের পেছনে পরপর তিনটি ককটেল ফাটানো হয়। ককটেলে কেউ আহত না হলেও সভায় উপস্থিত থাকা ভোটাররা আতঙ্কে ছোটাছুটি করার সময় কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তাঁর নির্বাচনী সভায় ককটেল বিস্ফোরণ করে থাকতে পারেন জামায়াত-বিএনপির প্রার্থী। তাঁরা শুরু থেকেই আক্রমণী কথাবার্তা বলে মাঠ গরম করছেন। তাঁরা এর প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি অভিযোগ করবেন। নির্বাচনী অফিসেও অভিযোগ করবেন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা এ হামলা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানায় এখন পর্যন্ত কেউ এ ঘটনায় অভিযোগ করেননি। তবে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।