নৌকার পাটাতনের নিচ থেকে মিলল ২২ কোটি টাকার আইস

মাদক
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতে এক নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) ও ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। নৌকার পাটাতনের নিচে থাকা একটি বস্তার ভেতর এসব মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বিজিবি সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধার করা আইসের চালানের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় চালান। এর বাজারমূল্য ২২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়াসংলগ্ন নাফ নদী থেকে এসব মাদক জব্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অপারেশন কর্মকর্তা লে. মো. মুহতাসিম বিল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে বলে বিজিবি গোপন তথ্য পায়। এর সূত্র ধরে গতকাল রাতে দমদমিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার জালিয়ারদ্বীপ এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়। রাত ১২টার দিকে বিজিবির টহল দল একটি নৌকাকে মিয়ানমারের শোয়ারদ্বীপ এলাকা থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ারদ্বীপের দিকে আসতে দেখে। নৌকাটি নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করলে বিজিবির টহল দল নৌকার মাঝিকে চ্যালেঞ্জ করে। তা দেখে আরোহীরা নৌকাটি ঘুরিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যেতে থাকেন।

এ সময় টহল দল সন্দেহভাজন নৌকাটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আরোহীরা নৌকা থেকে লাফিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের দিকে চলে যান। পরে বিজিবির টহল দল স্পিডবোটে গিয়ে নৌকাটি আটক করে। নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে পাটাতনের নিচে একটি বস্তার ভেতর থেকে ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) ও ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য এলাকায় গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, এখন পর্যন্ত এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধার করা নিষিদ্ধ ঘোষিত আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) সর্বোচ্চ চালান। মাদক বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হবে।