নৌকায় ৩ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা বড়ি ফেলে পালাল পাচারকারীরা

সমুদ্রপথে পাচারের সময় ৩ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকা জব্দ করেছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। আজ বুধবার কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনে তোলা
প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রপথে পাচারের সময় ৩ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকা জব্দ করেছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আজ বুধবার ভোররাতে টেকনাফের সাবরাংয়ের কাটাবুনিয়া-সংলগ্ন এলাকায় সমুদ্র তীরে অভিযান চালিয়ে নৌকাসহ এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তর গোয়েন্দা পরিদপ্তর শাখার (মিডিয়া কর্মকর্তা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের সদস্যরা জানতে পারেন, মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। তারই সূত্র ধরে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল হকের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযানে যান কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তাঁরা সাবরাং জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেন। পরে একটি কাঠের নৌকা ওই পথে আসতে দেখা যায়। নৌকাটির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় সেটিকে থামার সংকেত দিলে নৌকায় থাকা ব্যক্তিরা তা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করা হয়। পরে নৌকাটি সমুদ্র তীরে ভিড়িয়ে লোকজন পালিয়ে যান। পরে নৌকায় তল্লাশি করে ৩ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় মাছ ধরার নৌকাটিতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার ওসমান গণির ছেলে মোহাম্মদ আরমানের নামে লাইসেন্স ও একটি নোটবুক উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ও টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল হক বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জব্দ করা ইয়াবা ও কাঠের নৌকা টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।