নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শন

পায়রা বন্দর নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত পুনর্বাসন এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

পায়রা বন্দর নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনে নির্মিত ‘পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুবিধাদি উন্নয়ন’ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রোববার তিনি পুনর্বাসন প্রকল্পের ১ নম্বর প্যাকেজসহ তিনটি প্যাকেজ পরিদর্শন করেন। নবনির্মিত বাড়িগুলোর কক্ষসহ বিভিন্ন দিক তিনি ঘুরে দেখেন এবং এর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

প্রধানমন্ত্রী শিগগরিই প্রথম প্যাকেজের উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেন। খালিদ মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় কেউ ভূমিহীন হয়নি। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। দেশের মানুষের মৌলিক সমস্যা বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্যসহ সবকিছু সমাধান করছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৫০০ পরিবারকে ১৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোলসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পায়রা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য ৬ হাজার ৫৬২ দশমিক ২৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কলাপাড়ায় চলমান। এ জন্য ৩ হাজার ৪২৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের পুনর্বাসনের নিমিত্তে ‘পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুবিধাদি উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪৮৪ একর জমিতে ১৪টি প্যাকেজে সাতটি কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের পুনর্বাসনকল্পে প্রায় ৩ হাজার ৪২৩টি বাড়ি নির্মাণাধীন। যার মধ্যে এ টাইপের ১ হাজার ১৬৫টি (৪ কাঠার) এবং বি টাইপের ২ হাজার ২৫৮টি (৩ কাঠার) বাড়ি রয়েছে। ১৪টি প্যাকেজের মোট চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা রয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বর্তমানে সামগ্রিকভাবে এ প্যাকেজের ভৌত অগ্রগতি ৬৪ দশমিক ৫১ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬০ দশমিক ২৮ ভাগ।