নড়াইলে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ

নড়াইলের সদর উপজেলায় তানিয়া বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তানিয়া বেগমের পরিবার অভিযোগ করেছে, পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে অ্যাসিড নিক্ষেপের এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের বাহিরগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত তানিয়াকে প্রথমে সদর হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অহিদ মোল্লা, বিপ্লব ও জুয়েলকে আটক করেছে পুলিশ।

তানিয়া বেগম যশোরের সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মাসুদ হাসানের স্ত্রী। নড়াইলে তাঁর বাবার বাড়ি।

গ্রামবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধানের বিচালির ব্যবসা করার জন্য নড়াইলে তানিয়া বেগমের বাবার বাড়ির প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফার ছেলে অহিদ মোল্লা এক বছর আগে তানিয়ার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নেন। বছর পার হলেও অহিদ মোল্লা টাকা পরিশোধে তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তানিয়া তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অহিদের বিরুদ্ধে ১৩ আগস্ট সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি যশোরের শংকরপাশা গ্রামে স্বামী মাসুদ হাসানের বাড়িতে চলে যান। গ্রাম্যভাবে বিষয়টি আপস–মীমাংসার কথা বলায় তানিয়া বেগম গতকাল দুপুরে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন।

তানিয়া পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যায় জিডির কপি দেখানোর জন্য তিনি বাড়ির পাশে চাচার বাড়ি যান। রাতে নিজ বাড়িতে ফিরে আসার পথে অহিদ ও তাঁর সহযোগী বিপ্লব ও জুয়েল তাঁর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে তানিয়ার শরীরের পেছনের অংশ ঝলসে যায়। তিনি চিৎকার করে উঠলে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা তানিয়া বেগমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন অ্যাসিড নিক্ষেপের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তানিয়া বেগমের দেওয়া তথ্য অনুসারে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অহিদ মোল্লা, বিপ্লব ও জুয়েল নামের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।