নড়াইলে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিন নারীর মৃত্যু

করোনাভাইরাস।
প্রতীকী ছবি

নড়াইল জেলায় এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ মঙ্গলবার। এর মধ্যে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে লোহাগড়া উপজেলার দুজন এবং নড়াইল সদর উপজেলার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আজ এ তথ্য জানা গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে নড়াইল সদরেই ৩৫ জন এবং লোহাগড়া উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের সিঙ্গা গ্রামের রিনা বেগম (৬৫) আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান। তিনি ওই গ্রামের ময়েন শেখের স্ত্রী। দুই সপ্তাহ আগে থেকে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। সকালে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। সেখানে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। আধা ঘণ্টার মধ্যে জরুরি বিভাগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ ছাড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসি গ্রামে হামিদা বেগম (৮০) নামের এক নারী মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের স্ত্রী। চার-পাঁচ দিন আগে থেকে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে লোহাগড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে তাঁকে আনা হয়। তখন তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৩৫ শতাংশ। সেখানে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় তাঁকে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়গাতি গ্রামে খাদিজা পারভীন (৪০) নামের এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের হাসেম শিকদারের মেয়ে। গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

লোহাগড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের সংক্রমণ রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটিই বাড়ছে। আরও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তি অতি দ্রুত সময়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। করোনায় আক্রান্তের পর বয়স্ক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।