নড়াইলের একজনকে হত্যায় ২৬ জনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বনি মোল্লা হত্যা মামলায় ২৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় দেন। আদালত চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মফিজ বিশ্বাস (৪০), আলম শেখ (৩৯), আ. সালাম শেখ (৪২), শরিফুল খাঁ (৪৪), মামুন খান (৩৯), আশিক শিকদার (৩৩), সোহেল শিকদার (২৭), সবুজ শেখ (২২), সবুজ মোল্যা (৩২), খালিদ মোল্যা (২৬), খোকন মোল্যা (৫৫), কিবরিয়া মোল্যা (৫০), সাদি শেখ (১৮), আহাদুল শেখ (২৩), ইমদাদ শেখ (২৭), শরিফুল মোল্যা (৫৩), বাপ্পি শেখ (৩৪), সুফিয়ান খাঁ (৪৩), আশরাফুল খাঁ (৩৭), আনোয়ার মোল্যা (৪৫), রুনজু মোল্যা (৩৮), দুলাল খাঁ (৫০), শিপলু খান ওরফে পিকুল খাঁন (২৩), উজ্জ্বল তালুকদার (৩৭), আশিক মোল্যা (২৩) ও মো. আজাদ শেখ (৩৭)। তাঁদের সবার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায়।

খালাসপ্রাপ্ত চারজন হলেন বাবু মোল্যা (২৭), রকিবুল মোল্যা (৩৫), মো. মিলন শেখ (৩৮) ও সেলিম মোল্যা (৫২)।

আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, শত্রুতা ও মামলা–মোকদ্দমার কারণে খুন করা হয় কালিয়া উপজেলার পারবিঞ্চুপুর গ্রামের মো. হাসিম মোল্লার ছেলে বনি মোল্লাকে।

২০১৯ সালের ১১ মে বনি বাড়ির পাশের একটি ঘেরে অবস্থান করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে প্রতিবেশী ছাকু কাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনার পর বনি মোল্লার বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনার দুই দিন পর নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে আরও দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামি শিশু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি নড়াইলের শিশু আদালতে বিচারাধীন আছে। এই মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।