পটুয়াখালীতে ডায়রিয়া রোগীর মলে মিলেছে কলেরার জীবাণু: আইইডিসিআর

আইইডিসিআর
ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মলে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর মল পরীক্ষা করে তাতে কলেরার জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধিদল।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে আইইডিসিআরের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন ছয় রোগীর মল পরীক্ষা করে দুজনের মলে কলেরার জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে।

ওই দল সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই এই মৌসুমে বরিশাল বিভাগে কমবেশি ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়। কিন্তু এবার আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি। মূলত, এর কারণ অনুসন্ধানের জন্য তারা এসেছে।

আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদলের সদস্য চিকিৎসক মো. জাহিদুর রহমান ও চিকিৎসক রেজোয়ান প্রথম আলোকে বলেন, এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মাত্র ছয়জন রোগীর মল পরীক্ষা করে দুজনের মলে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। সাধারণত, রোগীদের অনেকে বাড়িতেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে হাসপাতালে আসেন। তা না হলে এর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত। তাঁরা আরও বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি, তাঁদের স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ দৈনন্দিন কাজে নদী, খাল ও পুকুরের পানি ব্যবহার করেন। এই অভ্যাস বদলাতে হবে। গৃহস্থালিসহ সব কাজে নলকূপের পানি ব্যবহার করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল বিভিন্ন উৎসের পানির নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি রোগীদের মল পরীক্ষা করেছে। মলে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি মির্জাগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। গত এক মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৫৪ জন রোগী। এর মধ্যে মারা গেছেন এক নারী আর বাড়িতে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৪ জন।