পত্নীতলায় বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার

নওগাঁর পত্নীতলায় পাওয়া নীলগাইটিকে বেঁধে রাখা হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
নওগাঁর পত্নীতলায় পাওয়া নীলগাইটিকে বেঁধে রাখা হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার হাটশাওলী কানুপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানে ছোটাছুটি করছিল অপরিচিত একটি প্রাণী। আজ সোমবার ভোরে ওই প্রাণীকে দেখতে পান গ্রামের এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে প্রাণীটিকে দেখতে ছুটে আসেন গ্রামবাসী। পরে সবাই মিলে ধাওয়া করে প্রাণীটিকে ধরতে সক্ষম হন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী অপরিচিত প্রাণীটিকে দেখতে ভিড় জমান। সেখানে আগত বয়োজ্যেষ্ঠরা প্রাণীটিকে বনগরু বলে শনাক্ত করেন।
জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন (ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) রফি ফয়সাল তালুকদার বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে বনগরু হিসেবে পরিচিত হরিণ আর গরুর মাঝামাঝি দেখতে উদ্ধার হওয়া প্রাণীটি আসলে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই। এটি একটি পুরুষ নীলগাই। এর গায়ের রং কিছুটা ছাইরঙের।’

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি মান্দা উপজেলার জোতবাজার এলাকায় একটি পুরুষ নীলগাই ধরা পড়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভোরে উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হাটশাওলী কানুপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানে প্রাণীটিকে ছোটাছুটি করতে দেখেন আবদুস সালাম নামের এক ব্যক্তি। অপরিচিত প্রাণীটিকে দেখতে পেয়ে তিনি গ্রামবাসীকে খবর দেন। একপর্যায়ে ধাওয়া করে প্রাণীটিকে ধরতে সক্ষম হন গ্রামবাসী। পরে প্রাণীটিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

নির্মইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একসময় পত্নীতলা, সাপাহার ও ধামইরহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে এ ধরনের প্রাণীর প্রায়ই দেখা মিলত। এখানকার লোকজনের কাছে এটি বনগরু হিসেবে পরিচিত। তবে এখন এই এলাকায় এই প্রাণীর দেখা আর মেলে না। আমার ধারণা, দলছুট হয়ে ভারত থেকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে চলে এসেছে।’


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম বলেন, পশুটিকে উদ্ধার করে নির্মইল ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। প্রাণীটিকে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষকের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।