পদ্মা সেতু চালুর দিন থেকেই ভাঙ্গায় ট্রেন চলবে: মন্ত্রী

উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের স্লিপার কারখানা পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী। বুধবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্লিপার কারখানায়
প্রথম আলো

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, যেদিন থেকে পদ্মা সেতু চালু হবে, সেদিন থেকেই সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হবে। বুধবার দুপুরে ভাঙ্গায় পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের স্লিপার কারখানার উৎপাদনকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি সমানতালে চলছে রেলপথ নির্মাণের কাজ। অক্টোবর থেকে সেতু প্রকল্পের রেলপথের মাটি ভরাটসহ অন্যান্য কাজ চলছে। শুকনা মৌসুমের ছয় মাস উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআইসি রেলপথের স্লিপার তৈরির কাজ করছে। তারা এ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের স্লিপার তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনের পর মন্ত্রী স্লিপার তৈরির কারখানাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক শামসুজ্জামান, সিআরআইসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াং কুন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রমুখ।

সিআরআইসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াং কুন জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লিপার তৈরি ও সরবরাহ করার জন্য ভাঙ্গা উপজেলায় কারখানাটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ আগস্ট থেকে কারখানাটি স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করে।

এদিকে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প (১ম ও ২য় পর্যায়) ও পাচ্চর-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে বুধবার। বিকেলে ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩০০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মধ্যে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৫৮০ টাকা বিতরণ করা হয়।

এ নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৪৬৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হলো। তিনটি উপজেলায় অধিগ্রহণ করা জমির পরিমাণ প্রায় ৩০০ একর। ভাঙ্গায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান খান প্রমুখ।