পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে নেই চাপ, মোটরসাইকেল পার হচ্ছে ফেরিতে

সেতু দিয়ে পার হতে না পেরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির জন্য মোটরসাইকেল চালকদের অপেক্ষা। আজ সোমবার সকালে
ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল উঠতে না পারায় আজ সোমবার সকালে মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ করেন মোটরসাইকেলের চালকেরা। কিছুক্ষণ সেতুতে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করে দেন তাঁরা। পুলিশ এসে তাঁদের শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পদ্মা সেতু এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মোটরসাইকেল আরোহীরা পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে টোল প্লাজা অতিক্রম করতে বাধা দেন প্রশাসনের লোকজন। এ সময় কয়েক শ মোটরসাইকেল জড়ো হয় টোল প্লাজার সামনে। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে চান তাঁরা।

তবে পদ্মা সেতুতে উঠতে না দেওয়ায় এবং ফেরি চালু না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বাইকাররা। একপর্যায়ে টোল প্লাজা অবরুদ্ধ করেন তাঁরা। সে সময় বেশ কিছুক্ষণ সেতুতে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করে দেন তাঁরা। পুলিশ এসে তাঁদের শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক টি আই মো. জিয়াউল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টার পর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজা এলাকায় বাইকাররা জড়ো হতে থাকেন। সে সময় সেতুতে উঠতে না পারায় বাইকাররা কিছু ঝামেলা করার চেষ্টা করেন। পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। তারা ফেরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি চালুর ব্যবস্থা করেন। সে সময় মোটরসাইকেলের যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে চলে যান। ফেরিতে পদ্মা নদী পাড়ি দেন তাঁরা।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যেহেতু সেতুতে উঠতে মোটরসাইকেলচালকদের সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমরা তাঁদের অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন সেতু এলাকায় জড়ো না হয়ে বিকল্প পথ হিসেবে ফেরি ব্যবহার করেন।’

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ দুপুর ১২টার দিকে জানান, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ। ফলে ঘাটে অনেক মোটরসাইকেল জড়ো হয়। এ অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে ১১৯টি মোটরসাইকেল নিয়ে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ‘কুঞ্জলতা’।

নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ফেরিটি যেতে সময় লাগছে। ঘাটে এখনো কিছু মোটরসাইকেল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ নৌপথে তাদের ছয়টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে চারটি সচল। মোটরসাইকেল জড়ো হলে ফেরি পারাপার করা হবে।