পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকিতে বিদ্যালয়

পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর পদ্মার ভাঙনের কারণে পাঁচবার বিদ্যালয়ের ভবন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পদ্মার ভাঙনের হুমকিতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। সম্প্রতি তোলা ছবিপ্রথম আলো

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠ পর্যন্ত নদী চলে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া মৌজার চারদিকে পদ্মা নদী। ওই চরের চার গ্রামে অন্তত আট হাজার মানুষের বসবাস। এ মৌজায় ৫২ নম্বর পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে স্থাপন করা হয়। এ পর্যন্ত পাঁচবার ভাঙনের কবলে পড়েছে বিদ্যালয়ের ভবন। সর্বশেষ ২০০৭ সালের ভাঙনের পর পাইনপাড়ার মাঝিকান্দিতে বিদ্যালয়ের ভবন সরিয়ে নেওয়া হয়।

গত বছর থেকে পাইনপাড়ার চরটি পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে। দুই বছরে অন্তত ২৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এখন ৫২ নম্বর পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মফিজুল উলুম নূরানী মাদ্রাসার ভবন ভাঙনের কবলে পড়েছে।

পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বিদ্যালয়টি পাঁচ দফা ভাঙনের কবলে পড়েছে। প্রতিবারই বিদ্যালয় সরিয়ে নিতে হয়েছে। আমরা এখন আতঙ্কে আছি, বিদ্যালয় মাঠের বেশ কিছু জায়গা পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এখন বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পড়লে বিপাকে পড়ব। কারণ, জমির দাম বাড়ায় কেউ এখন আর বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করতে চান না।’

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন খলিফা ও শাহ আলম মাদবর বলে, নদীটি ৩০০-৪০০ মিটার দূরে ছিল। এক বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী বিদ্যালয়ের মাঠের কাছে চলে এসেছে।

শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সব সময় ভাঙনের আতঙ্কে থাকে। ভিডিও কলের মাধ্যমে বিষয়টি আমি আমাদের ডিজিকে গত সপ্তাহে দেখিয়েছি। তিনি বিদ্যালয় রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

জাজিরর ইউএনও আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘পাউবোকে জরুরি ভিত্তিতে নদীভাঙন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’