পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ, একে একে মিলল দুই কিশোরের লাশ

পানিতে ডুবে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মাওয়া পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মার নতুন চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন হলো দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ শুভাঢ্যা এলাকার মো. সিরাজ হোসেনের ছেলে আজাদ হোসেন ওরফে বাপ্পী (১৫) এবং একই এলাকার মো. তামিম হোসেন (১৫)। তারা দুজনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ শুভাঢ্যা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে আজাদ হোসেন বাপ্পির (১৫) লাশ উদ্ধার করা হয় বেলা তিনটার দিকে। আর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নিখোঁজ তামিমের (১৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে নারী, পরুষ ও তরুণদের ২৬ সদস্যের একটি দল পদ্মা সেতু এলাকায় ঘুরতে আসে। এ সময় তারা একটি ট্রলার করে নদীর কাইজ্জার চর (নতুর চর) এলাকায় যায়। সেখানে বেশ কয়েকজন গাসল করতে পদ্মার পানিতে নামে। গোসল করার একপর্যায়ে বেলা দেড়টার দিকে আজাদ ও তামিম নামের দুই শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে নিখাঁজ হয়। বেলা তিনটার দিকে আজাদ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়। এরপর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তামিমের লাশ পাওয়া যায়।

বাপ্পির সঙ্গে বেড়াতে আসা রাব্বি নামের এক কিশোর জানায়, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে তারা ২৬ জন পদ্মা সেতু এলাকায় ঘুরতে এসেছিল। খুব আনন্দ কাজ করছিল তাদের মধ্যে। ট্রলারে করে পদ্মার চরে গিয়ে ৮-১০ জন গোসল করতে নেমেছিল। গোসল শেষে অন্যরা ট্রলারে উঠতে পারলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি আজাদ হোসেন ও তামিমকে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল কবির বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধার করতে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ডুবরি দলের সদস্যরা কাজ করেন। বেলা তিনটার দিকে আজাদ হোসেন এবং বিকেল পাঁচটার দিকে তামিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।