পদ্মায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙাশ

পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় বড় আকারের পাঙাশ মাছ। শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল মাছের আড়তে
সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা ও শরীয়তপুর জেলার সীমানায় পদ্মা নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙাশ মাছ। শুক্রবার রাতে জেলেদের জালে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে এসব মাছ ধরা পড়ছে। শনিবার সকালে মাছগুলো টঙ্গিবাড়ীর হাসাইল স্থানীয় মাছের আড়তে বিক্রি করা হয়। বড় আকৃতির এসব মাছ দেখতে সকালে মাছের আড়তে ভিড় জমান স্থানীয় শত শত মানুষ।

শনিবার সকালে জেলেরা উপজেলার হাসাইল মৎস্য আড়তে মাছ নিয়ে আসেন। মাছগুলো আড়তের মালিকেরা পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। এ ছাড়া দাম নাগালের মধ্যে থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে অনেক সাধারণ ক্রেতাও মাছ ক্রয় করেন। একেকটা মাছের ওজন একেক রকম। ১০-১৫ কেজি ওজনের পাঙাশের সংখ্যা বেশি। এসব মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৭০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

পাঙাশ মাছ ধরে এভাবেই নৌকায় করে মাছের আড়তে আনা হয়। শনিবার সকালে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীতে
সংগৃহীত

ওই আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসা কাদির ব্যাপারী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নদীতে পাঙাশের সংখ্যা বেশি। শুক্রবার রাতে তিনি পেয়েছেন ৪৫টি বড় পাঙাশ।

আলি আহমেদ নামে আরও এক জেলে বলেন, তিনি নদীতে জাল ফেলে পেয়েছেন ২০টি পাঙাশ। এসব মাছ সকালে আড়তে এনেছেন। মাছের দাম ও চাহিদা দুটোই বেশ ভালো।

হাসাইল মাছঘাটের আড়তদার মো. সোহেল হালদার বলেন, জাটকা ইলিশের মতো পাঙাশের বাচ্চা নিধন বন্ধ করা গেলে ভবিষ্যতে এর চেয়ে বেশি ও আকারে বড় পাঙাশের দেখা মিলবে।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন মৃধা বলেন, প্রতিবছরই ইলিশের প্রজনন মৌসুমের পর নদীতে পাঙাশ মাছের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। গত বছর পাঙাশের পোনা বিক্রি বন্ধে নিরলস চেষ্টা করা হয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।