পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ভাই-বোনের হদিস মেলেনি

পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই ভাই-বোনের সন্ধানে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নবগঙ্গা এলাকা, পবা, রাজশাহী, ২৬ সেপ্টেম্বর
শহীদুল ইসলাম

রাজশাহী নগরের উপকণ্ঠে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৫ ঘণ্টা পার হলেও নিখোঁজ দুই ভাই-বোনের হদিস মেলেনি। শনিবার সকাল আটটার দিকে আবার ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, তাঁরা সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। পদ্মার পানির গতি প্রকৃতি দেখে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তাঁদের ধারণা, ঘটনাস্থল থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে নিখোঁজ দুজনের লাশ ভেসে  উঠতে পারে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাশ ভেসে উঠে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার নবগঙ্গা এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই নৌকায় ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে সাঁতার কেটে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ১১ জন পারে উঠে আসেন। তাঁরা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার খোলাবোনা এলাকা থেকে নৌকায় উঠেছিলেন। সেখান থেকে ঘটনাস্থল নবগঙ্গা সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে।

নিখোঁজ দুজন হলেন সাদিয়া ইসলাম সূচনা (২০) ও মো. রিমন (১৪)। সাদিয়া বাংলাদেশ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্স শেষ সেমিস্টারে শিক্ষার্থী। আর রিমন ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্পর্কে তাঁরা খালাতো ভাই-বোন। সূচনা ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় চাচা রেজাউল ইসলামের বাড়িতে গত মার্চ মাস থেকে আছেন। আর রিমনসহ কয়েকজন গত পরশু ঢাকা থেকে বেড়াতে রাজশাহীতে আসেন।

সূচনার চাচা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘সূচনা গত মার্চ মাসে রাজশাহীতে চলে আসে। এখানে থেকেই মোবাইলে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চতুর্থ বর্ষের একটি সেমিস্টার শেষ করেছে। সে পড়ত মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগে। আর একটা সেমিস্টার শেষ হলেই সাংবাদিক হয়ে যেত সে।’

সূচনার আরেক চাচা আলাউদ্দিন বলেন, তাঁরা সাত ভাই। এর মধ্যে সূচনার বাবা শাহজাহান আলী দিনাজপুরে ডিসি অফিসে চাকরি করেন। গতকাল সূচনা, তাঁর মা, ভাই-ভাবি, খালাতো ভাই, বান্ধবী ও তাঁর মাসহ ১৩ জন নৌকা ভ্রমণে বের হন। বাকি ১১ জন সাঁতার জানলেও সূচনা আর রিমন সাঁতার জানত না।

আরও পড়ুন