পরকীয়ার জেরে চালককে খুন করে অটোরিকশা বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪

প্রতীকী ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকায় কলেজছাত্র রুবেল খুন ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরকীয়ার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকারীরা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কৌশলে রুবেলকে ডেকে নিয়ে খুন করে। এরপর তাঁর অটোরিকশাটি এক জায়গায় এবং অটোরিকশার ব্যাটারি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়।

আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানানো হয়। এতে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাকির হাসান, কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার রাতে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার শাজাহানপুর থানার বড়তিন কুল গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে আবু জাফর ওরফে আকাশ (২০), একই জেলা শহরের মালগ্রাম এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে শাকিল (২০), জামালপুরের মেলান্দহ থানার হরিণাপাই গ্রামের মো. আশরাফ মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (২২) এবং চোরাই ব্যাটারির ক্রেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার টিয়ারা গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে মো. রাশেদ আহমেদ (৪০)।

নিহত রুবেল (১৮) নওগাঁর রানীনগর থানার দেবরাগাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভার এলাকার এক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। করোনা মহামারির কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় রুবেল ভবানীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।

সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাকির হাসান বলেন, আকাশ ও অটোরিকশাচালক রুবেল একই বাড়িতে থাকতেন। আকাশের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রুবেলের সঙ্গে আকাশের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরেই ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আকাশ তাঁর অন্য তিন সহযোগীকে নিয়ে রুবেলকে খুন করেন।

ডিসি জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার রাতে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে রুবেলকে ডেকে নেয় আকাশ। পূর্বপরিকল্পনা অনুয়ায়ী তাঁর রিকশায় চড়ে আকাশ, শাকিল ও ফরহাদ কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় যান। সেখানে রুবেলকে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর অটোরিকশা ও ব্যাটারি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কাশিপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারির ক্রেতা রাশেদ ও অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে ব্যাটারি ও খুনে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।