পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বিক্ষোভ

বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউপি নির্বাচনে সদস্যপদে ভোট কারচুপির অভিযোগে পরাজিত প্রার্থী আবু হানিফ নাজিরের সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন। আজ সোমবার আবু হানিফ নাজিরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা পদ্মা বাজারে ওই বিক্ষোভ করেন
ছবি: প্রথম আলো

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্যপদে ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগে অন্তত সাত শতাধিক ভোটাররা পদ্মা বাজারে বিক্ষোভ করেছেন। পরাজিত প্রার্থী আবু হানিফ নাজিরকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ভোটাররা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তাঁরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দিকে রওনা দিলে পদ্মা কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত এলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।

নির্বাচনে পাথরঘাটা সদর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে শাকিল আহমেদ ৮০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ৬৬৮ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আবু হানিফ। অপর প্রার্থী সোহরাব হোসেন ৫৮৯, আবদুল লতিফ ৬১ ও আবুল কালাম আজাদ ৪৬ ভোট পান। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে ছিল বাদুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ওই ভোটকেন্দ্রের ভিজিটিং কর্মকর্তা ও বানইচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমে ভোট হয়েছে, ভোটার যে প্রতীকে ভোট দিয়েছেন, সেভাবেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে কারচুপি করার কোনো সুযোগ নেই।

বিক্ষোভ সমাবেশে নারী-পুরুষ ভোটাররা বলেন, ‘পাথরঘাটা সদর ইউপি নির্বাচন ২৮ নভেম্বর ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যপদে আমরা একচেটিয়াভাবে আবু হানিফ নাজিরের টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট দিয়েছি। ভোট শেষেও কেন্দ্রেও টিউবওয়েল প্রতীকের জয়জয়কার ছিল। কিন্তু যথাসময়ে ফল ঘোষণা না করে বিলম্ব করে শাকিল আহমেদকে ৮০০ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আর আবু হানিফ নাজিরকে ৬৬৮ ভোট দেখানো হয়। রাতে এ খবর শুনে আমরা ভোটাররা কেউ ঘুমাতে পারিনি।’

আবু হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত থেকেই ভোটাররা আমাকে ফোন করতেছিলেন যে আমরা একচেটিয়া আপনাকে ভোট দিয়েছি। সকালে ওই ভোটাররা সবাই বাড়িতে এসে নির্বাচন পুনর্গণনার জন্য দাবি জানাতে বলেন। পরে ওই ভোটাররা আমাকে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তবে বিক্ষোভ মিছিল চলার সময় পাথরঘাটা থানার পুলিশ ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এসে আমাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, যা হওয়ার হয়েছে। এসব করে আর কী হবে, এখন তো ফল ঘোষণা হয়ে গেছে।’

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আইউব আলী হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীদের আপত্তি থাকলে ওই ভোটকেন্দ্রেই তা জানানো উচিত ছিল। এক দিন পরে বিক্ষোভ মিছিল করে এ কথা জানানোর কিছু নেই। তবে তাঁদের আপত্তি থাকলেও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করে অভিযোগ জানাতে হবে।