পরাজয়ের ভয় থেকে প্রতিপক্ষ নানা অভিযোগ করছে: আ.লীগের প্রার্থী আহম্মেদ আলী

মেহেরপুরের গাংনী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহম্মেদ আলী
ফাইল ছবি

মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি। এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলী। প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নির্বাচন ও পৌরসভার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

প্রশ্ন :

টানা দুবার পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। গতবারও আপনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। গতবারের পরাজয় এবার কাটিয়ে উঠবেন বলে আপনি মনে করেন?

আহম্মেদ আলী: দুবারের নির্বাচনে জনগণ আমাকে মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছিল। তখন পৌরসভার মানোন্নয়ন করা হয়েছিল। এবার মাঠ আওয়ামী লীগের দিকে। জনগণ গত পাঁচ বছরের দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। দলীয় মনোনীত হওয়ার কারণে জনগণ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া পুরোপুরি দেখতে পাবে।

প্রশ্ন :

পৌরবাসীর জন্য আপনার কী কী পরিকল্পনা রয়েছে?

আহম্মেদ আলী: আমি যদি নির্বাচিত হই, তবে প্রথমে গাংনী পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করব। শহরের মানুষের জীবনমান উন্নত করব। পৌর কর কমিয়ে আনব। সাধারণ শ্রেণির মানুষদের বাড়ি তৈরিতে পৌরসভা ভূমিকা রাখবে।

প্রশ্ন :

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নানা অভিযোগ রয়েছে আপনার বিরুদ্ধে?

আহম্মেদ আলী: এবারের পৌর নির্বাচনে নৌকার জোয়ার বইছে। এ কারণে তাঁরা পরাজয়ের ভয় পেয়ে নানা অভিযোগ করছেন।

প্রশ্ন :

যদি মেয়র হিসেবে আবার নির্বাচিত হন, প্রথম কাজ কী হবে?

আহম্মেদ আলী: কোনো ভোটার বা নাগরিক কেউই আমাকে তেমন কিছু করার কথা বলেনি। তাঁরা জানেনই আমি কাজপাগল মানুষ। মেয়র নির্বাচিত হলে পৌর এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।

প্রশ্ন :

পৌর এলাকায় ঘুরে বেড়ানো বা চিত্তবিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য কোনো কিছু করার পরিকল্পনা আছে কি?

আহম্মেদ আলী: গাংনী পৌরসভা ছিল গ্রামের মতো। যখন আমি মেয়র নির্বাচিত হলাম, তারপরই এটিকে শহরে রূপান্তর করতে শুরু করলাম। পৌরসভার তত্ত্বাবধানে একটা পার্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। পুনরায় আবার পার্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রশ্ন :

পৌর এলাকায় মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা বন্ধে আপনি কতটুকু ভূমিকা রাখবেন?

আহম্মেদ আলী: মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

প্রশ্ন :

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আহম্মেদ আলী: প্রথম আলোকেও ধন্যবাদ।