পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ট্রেনে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় যেতে লাগবে ৫-৬ ঘণ্টা: মন্ত্রী

ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনের প্ল্যাটফরম উঁচু ও সম্প্রসারণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ সোমবার রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বক্তব্য দেন
প্রথম আলো

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, ‘ট্রেনে চড়ে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা যেতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে, এমন পরিকল্পনা নিয়ে রেল মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা দাবি করবেন, তারপর আমরা তা বাস্তবায়ন করব; এমন আমরা নই। আপনাদের অসুবিধা আমরা সব সময় গবেষণা করে দেখছি।’

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম উঁচু ও সম্প্রসারণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী নূরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সেখানে ফিতা কেটে তিনি রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম উঁচু ও সম্প্রসারণ উদ্বোধন করেন। পরে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ও ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সঙ্গে রেলসংযোগ চালু করা হবে। চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি হয়ে যেমন শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি বাংলাবান্ধা দিয়েও শিলিগুড়ির সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপন হবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান—এই চার দেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা পর্যন্ত রেলের যোগাযোগ ছিল। মোংলা পর্যন্ত রেলের কোনো যোগাযোগব্যবস্থা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ হবে।

নূরুল ইসলাম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেল চলাচলে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একটা হলো, বেশি ভারী জিনিস পাড় করা যাবে না। আর অন্যটা হলো ২০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে সেতু পার হওয়া যাবে না। এই সমস্যা দূর করতে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর কয়েক শ গজ উত্তরে নতুন রেলসেতু নির্মিত হবে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সম্প্রসারিত হবে। এই রেলসেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করা যাবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটাররের রেল যোগাযোগ স্থাপন হচ্ছে। চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ছিল, কিন্তু কক্সবাজার পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল না।কক্সবাজার পর্যন্ত রেলসংযোগ স্থাপনের জন্য রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা বাংলাদেশকে কক্সবাজারের সঙ্গে রেলের মাধ্যমে যুক্ত করা সম্ভব হবে।