পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর
মেহেরপুর সদর উপজেলায় পরীক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিষা আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কোর্ট রোড সড়কে জেলা পরিষদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষা দিতে খালাতো ভাইয়ের মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যায় তিষা। এ ঘটনায় তার খালাতো ভাই পলাশ আহত হয়েছেন। তিষা সদর উপজেলার বামনপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা প্রশাসকের গাড়িচালক আবদুল মোমিনের মেয়ে। সে মেহেরপুর সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত তিষার খালাতো ভাই পলাশ বলেন, আজ তিষার বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছিল। বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য সকালে মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হন তাঁরা। শহরের কোর্ট রোড এলাকায় পৌঁছালে সড়কে বসানো গতিরোধক পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া পাওয়ার ট্রিলারের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে তিষা ও পলাশ সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তিষাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলমসহ সরকারি কর্মকর্তারা হাসপাতালে যান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান প্রথম আলোকে বলেন, সকালে সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তিষা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিষার বাবা আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটি দেখতে ঠিক আমার মায়ের মতো ছিল। তাকে খুব আদর-যত্নে রাখতাম। ডিউটি শেষে প্রতিদিন ফেরার পথে মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে আসতাম। কিন্তু অকালে মেয়েটি চলে গেল।’