পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে বিলাসবহুল প্রমোদতরি সেন্ট মার্টিনে

বিলাসবহুল প্রমোদতরি ‘বে ওয়ান ক্রুজ শিপ’
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিলাসবহুল প্রমোদতরি ‘বে ওয়ান ক্রুজ শিপ’ পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে সেন্ট মার্টিন পৌঁছেছে। তবে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন জেটিতে ভিড়তে পারেনি। জেটি থেকে প্রায় ৭০০-৮০০ ফুট দূরে এটি নোঙর করা হয়েছে।

আজ সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পথে যাত্রা শুরু করে ‘বে ওয়ান ক্রুজ শিপ’। বেলা আড়াইটার দিকে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়ার দক্ষিণ দিক থেকে ঘুরে এসে জাহাজটি জেটির কাছাকাছি নোঙর করে। এতে করে কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে জাহাজটির সময় লেগেছে সোয়া চার ঘণ্টা।

ওই জাহাজের যাত্রী ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাবিবুল্লাহ খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটি দ্রুতগতির ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। জাহাজটি সেন্ট মার্টিন থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূর থাকতেই এর গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পরে জাহাজটি সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়া দক্ষিণ দিক থেকে ঘুরে আসার কারণে অতিরিক্ত সময় লেগেছে। তবে জেটিতে ভিড়তে পারেনি। জেটি থেকে প্রায় ৭০০-৮০০ ফুট দূরে জাহাজটি নোঙর করা হয়েছে। ওই জাহাজ থেকে অপর একটি জাহাজের মাধ্যমে পর্যটকদের জেটিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আগে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজে করে পৌঁছাতে সময় লাগত প্রায় ছয় ঘণ্টা। এখন সাড়ে তিন ঘণ্টায় সেন্ট মার্টিন পৌঁছানো যাবে।

গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় কর্ণফুলী নদীর আনোয়ারায় শিপইয়ার্ড টার্মিনালে জাহাজটির সমুদ্রযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে জাপান থেকে অত্যাধুনিক জাহাজটি নিয়ে এসেছে ‘কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে জাপান থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বে ওয়ান ক্রুজ শিপ দেশে নিয়ে এসেছেন পর্যটনবান্ধব ব্যবসায়ী প্রকৌশলী এম এ রশিদ। বে ওয়ান কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জাপান থেকে আনা বিলাসবহুল এই জাহাজে ১৭ ক্রু ছাড়াও যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবেন আরও অতিরিক্ত ১৫০ ক্রু। ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫৫ ফুট প্রস্থের এই জাহাজের উত্তাল সমুদ্র মোকাবিলার সক্ষমতা আছে। যাত্রীর ধারণক্ষমতা দুই হাজার। এটি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল বেগে চলবে।

বে ওয়ান ক্রুজ শিপের কক্সবাজারের সমন্বয়ক হোসাইন বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, এই জাহাজে টিকিটের মূল্য আড়াই হাজার থেকে চার হাজার টাকা। কেবিনে ভাড়া পড়বে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত এ জাহাজ চলাচল করবে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই যাত্রীদের পারাপার করা হবে।