পাঁচটির নির্মাণ শুরুই হয়নি

নির্ধারিত সময়ের আট মাস পেরিয়ে গেলেও বাগেরহাটে ১০টি মসজিদের একটিরও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।

নির্মাণাধীন মোল্লাহাট উপজেলা মডেল মসজিদ। সাম্প্রতি তোলা ছবি
প্রথম আলো

মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। নির্ধারিত সময়ের আট মাস পেরিয়ে গেলেও বাগেরহাটে ১০টি মসজিদের একটিরও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যে পাঁচটি মসজিদের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ বলছে, সব প্রতিবন্ধকতার সমাধান করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব কটির নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।

এর মধে৵ ফকিরহাট, মোল্লাহাট, রামপাল ও শরণখোলা উপজেলায় নির্মাণকাজ শুরুর পর নিচতলা পর্যন্ত কাজ হয়েছে। কারিগরিভাবে এই ৪টি মসজিদের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বলছে পূর্ত বিভাগ। আর কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদের সার্ভিস পাইলের কাজ চলছে। তবে বাগেরহাট জেলা সদরে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য এখনো স্থান নির্বাচন চূড়ান্ত করতে পারেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও প্রশাসন। সদর উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য হজরত খানজাহান আলী (রহ.) মাজার মোড়ে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে বালু ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে আগস্ট থেকে।

এদিকে স্থান নির্বাচন হলেও ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় আটকে আছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ। চিতলমারীতে নির্ধারিত জমিতে রয়েছে উপজেলা পরিষদের একটি স্থাপনা। ফলে কাজ শুরু হয়নি সেখানেও। মোংলায় পাইলিংয়ের কাজ শেষ হলেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি স্থাপনার জন্য মূল ভবনের কাজ শুরু হয়নি।

তিন-চার বছরেও জেলা শহরে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন না হওয়াটা দুঃখজনক বলেছেন শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার কবির হোসেন। তিনি বলেন, এখানে তো কারও উদাসীনতা থাকার কথা নয়। তবে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে? কাদের গাফিলতির জন্য এত দেরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

বাগেরহাট শহরের রণবিজয়পুর এলাকার কাওসার আহম্মেদ বলেন, মাজার মোড় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে মহাসড়কের পাশে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এর আশপাশেই অন্তত চারটি মসজিদ রয়েছে। মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য একটু নিরিবিলি এলাকা নির্বাচন করা হলে আরও ভালো হতো।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট শহরে একটি এবং জেলার নয়টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। ৪৩ শতক জমির ওপর নির্দিষ্ট নকশায় প্রতিটি মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নিমি৴ত হবে। এর মধ্যে জেলা পর্যায়ে চারতলা এবং উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা ভবন নিমা৴ণ করা হবে।

গণপূর্ত বিভাগের বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফতেহ আজম খান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মসজিদের স্থান নির্ধারণ, ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা কারণে নির্মাণকাজে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়েছে। ফকিরহাট, মোল্লাহাট, রামপাল ও শরণখোলায় মসজিদের ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। অন্য উপজেলাগুলোয় কিছু জটিলতা আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসব সমাধান করে সব কটি মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।