পাংশায় কলেজশিক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা


রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে শিক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম সাজেদুর রহমান সিফাত (১৮)। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সাজেদুর রহমান কাচারীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সাজেদুর পাংশা সরকারি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

সাজেদুরের মামা রিয়াজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ব্যাডমিন্টন খেলা দেখে সাজেদুর বন্ধু স্বপনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সাজেদুরদের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একদল সন্ত্রাসী ওত পেতে ছিল। তাদের সঙ্গে স্বপনের বিরোধ ছিল। রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। স্বপনকে হত্যার জন্য ইট ছুড়ে মারে তারা। বিপদ আঁচ করতে পেরে স্বপন পালিয়ে যান। এ সময় সাজেদুর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে হামলাকারীরা সাজেদুরকে হাতুড়ি ও বাটাম দিয়ে বেদম মারধর করে। তাঁকে মাটিতে ফেলে কিল–ঘুষি ও পা দিয়ে পাড়ানো হয়। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফরিদপুর থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান।

রিয়াজুল ইসলাম আরও জানান, সাজেদুরের সঙ্গে এলাকার কারও বিরোধ ছিল না। তিনি খুব শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। ফটোগ্রাফিতে পড়ালেখার তাঁর খুব ইচ্ছে ছিল। এ জন্য ভারতে এ বিষয়ে পড়ালেখা করতে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। বিষয়টি জানার পরে থানার এক কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।