পাওনা টাকা দিতে দেরি, গ্রাম পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়া নিয়ে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে (চৌকিদার) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের কাজিরটেক বাবনাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. আজিজুল হক (৪০)। তিনি সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর এলাকার আবদুর লতিফ চৌকিদারের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) সদস্য হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরগোবিন্দপুর এলাকার গিয়াসউদ্দিন সিকদারের কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন আজিজুল হক। সম্প্রতি আজিজুল ধারের ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৮০ হাজার টাকার জন্য গিয়াসউদ্দিন বেশ কয়েক দিন ধরে আজিজুলকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন গিয়াসউদ্দিন। গতকাল রাতে চরগোবিন্দপুর এলাকা থেকে আজিজুল তাঁর বোনের বাড়ি বাবনাতলা যাওয়ার পথে গিয়াসউদ্দিন, তাঁর ছেলে শান্তসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাঁকে বেদম পেটান। এ সময় আজিজুল চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাঁরা পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় আজিজুলকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত আজিজুলের ভগ্নিপতি মো. ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, ‘পাওয়া টাকা দিতে দেরি হওয়ায় গিয়াস ও তাঁর লোকজন ভাইজানকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। যারা আমার ভাইজানকে খুন করেছে, তাদের বিচার চাই।’

এ দিকে ঘটনার পর থেকেই গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে এলাকায় নেই। অভিযোগের বিষয় জানতে তাঁদের দুজনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, টাকাপয়সা লেনদেনের কারণে কয়েকজন লোক আজিজুলকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই জড়িত ব্যক্তিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁদের ধরতে রাত থেকে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।